✅ লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক অনলাইন : আপনার আবেদন অ্যাপ্রুভড হয়েছে কি না দেখুন এখনই— এখানে “স্ট্যাটাস চেক অনলাইন” ।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে মানুষের আগ্রহ আজও কমেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে, যাতে মাসের শেষে হাতে সামান্য হলেও একটুখানি স্থায়ী আয় থাকে। সংসারের খরচ, ওষুধপত্তর, বাচ্চাদের ছোটোখাটো প্রয়োজন—এসব সামলাতে অনেক সময় বাড়ির মহিলাদেরই বেশি চাপ নিতে হয়। এই প্রকল্প সেই চাপটাকে একটু হলেও হালকা করার জন্য তৈরি হয়েছে।২০২১ সালে যখন প্রথম লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু হয়, তখন দেখা গেল কয়েক মাসের মধ্যেই লাখ লাখ মহিলা এতে নাম নথিভুক্ত করলেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সবাই একটাই প্রশ্ন—আবেদন করলে টাকা কবে আসবে, আর নিজের স্ট্যাটাস কোথায় দেখা যাবে।
আসলে আবেদন সঠিকভাবে জমা হয়েছে কি না এবং টাকা কবে পাওয়া যাবে—এই চিন্তাই সবার মধ্যে থাকে। অনেকেই ফর্ম জমা দেন, কিন্তু কোনো এসএমএস না পাওয়ায় ভাবতে থাকেন আবেদন আটকে গেছে কি না। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে সরকার অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করার সুবিধা দিয়েছে। এখন আর অফিসে দৌড়াদৌড়ি নেই। মোবাইল থেকেই কয়েক সেকেন্ডে নিজের Lakshmir Bhandar Application Status (লক্ষীর ভান্ডার) দেখা যায়।
স্ট্যাটাস চেক করার জন্য সরকারি লিংক হলো :
Click Here
এই লিংকে গিয়ে আবেদনকারী নিজের মোবাইল নম্বর, আবেদন নম্বর, আধার নম্বর বা স্বস্ত্য সাথী কার্ড নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই স্ট্যাটাস দেখা যায়। আবেদন গ্রহণ হয়েছে কি না, যাচাই চলছে কি না, অনুমোদন পাওয়া গেছে কি না—সবকিছু এখানেই দেখাবে।
অনেক সময় দেখা যায় এসএমএস না আসলেও আবেদন ঠিকমতো জমা থাকে। তাই শুধুমাত্র মেসেজের ওপর নির্ভর না করে এই সরকারি সাইটে গিয়ে একবার দেখে নেওয়া সবসময়ই ভালো। সার্ভারের আপডেট অনুযায়ী এটাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য দেয়।
নতুন আবেদনকারীদের স্ট্যাটাস দেখাতে কখনো কখনো একটু বেশি সময় লাগতে পারে। কারণ প্রচুর ফর্ম জমা হয় এবং সেগুলো যাচাই করতে সময় লাগে। তবে একবার অনুমোদন হয়ে গেলে টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। যেহেতু পেমেন্ট DBT পদ্ধতিতে হয়, তাই কারোর হাতে হাতে টাকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সবকিছু স্বচ্ছ ও নিরাপদভাবে ব্যাংকে চলে আসে।
রাজ্যের অসংখ্য মহিলার জীবনে এই প্রকল্প সত্যিই পরিবর্তন এনেছে। কেউ নিজের ওষুধের খরচ সামলাচ্ছেন, কেউ পরিবারে সাহায্য করছেন, কেউ আবার ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেছেন। প্রতিমাসে নিয়মিত কিছু টাকা হাতে পাওয়া মানে শুধু অর্থ নয়—এটি আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।
যারা এখনও আবেদন করেননি, তারা স্থানীয় পঞ্চায়েত বা BDO অফিসে গিয়ে বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফর্ম জমা দিতে পারেন। প্রয়োজনীয় নথি বলতে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, স্বস্ত্য সাথী কার্ড, এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য থাকলেই হয়। আবেদন সম্পূর্ণ হলে স্ট্যাটাস চেক করতে এই একই লিংক ব্যবহার করা যায়।
অনেকেই চান স্ট্যাটাস দেখাতে, ফর্ম পূরণ করতে বা নথি আপলোড করতে কারোর সাহায্য। বিশেষ করে যাদের স্মার্টফোন নেই বা অনলাইনের কাজ নিজে করতে অসুবিধা হয়। তাদের জন্যই স্থানীয় সাইবার ক্যাফেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
ঠিক সেই জায়গায় যারা সহায়তা খুঁজছেন, তাদের জন্য রয়েছে একটি নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় পরিষেবা—akashworldwide Cyber Cafe। এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার আবেদন, স্ট্যাটাস চেক, নথি সংশোধন—সব ধরণের ডিজিটাল কাজ সাহায্য করে দেওয়া হয়।
🏪 akashworldwide (Cyber Cafe) — আপনার ডিজিটাল সরকারি কাজের বিশ্বস্ত সমাধান
যারা নিজেরা অনলাইনে আবেদন বা স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন না, বা ভুল হওয়ার ভয় পান, তাদের জন্য এটি একদম উপযুক্ত জায়গা।
📍 ঠিকানা
Shop No. 29, 2nd Floor
Arabinda Market Complex
Tekatuli, Mainaguri
Nirendrapur, West Bengal 735224
এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের ফর্ম পূরণ, স্ট্যাটাস চেক, প্রিন্টিং, স্ক্যান, কপি, ল্যামিনেশনসহ সব পরিষেবা পাওয়া যায়।
সব মিলিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার এখন শুধু সরকারি প্রকল্প নয়—অসংখ্য মহিলার জীবনের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত টাকা পাওয়ার মাধ্যমে সংসারের ভিত মজবুত হয়, আর সমাজে মহিলাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়। স্ট্যাটাস চেকের সুবিধা থাকায় আবেদনকারী নিজের অবস্থান মুহূর্তেই জেনে নিতে পারেন, যা প্রকল্পটিকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করেছে।